শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বালু চুরি দায়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত এমপি নদভীর শ্যালক

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১ নম্বর চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রুহল্লাহ চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর শ্যালক। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাঁর জিম্মায় থাকা ৩৫ লাখ টাকার বালু চুরি হয়। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতকে যথাসময়ে অবহিত না করায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২০ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বরখাস্তের কথা বলা হয়। তবে আজ শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আমির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে জেলা প্রশাসন থেকে রুহল্লাহকে শোকজ করা আদেশ থেকে জানা যায়, সাতকানিয়ার সাঙ্গু ও ডলু নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উত্তোলনকৃত বালু পাচারের সময় গত ১৪ মার্চ ৪০ লাখ ঘনফুট, ১৩ এপ্রিল পরিদর্শনে ৩০ লাখ ঘনফুট এবং ১৮ এপ্রিল পরিদর্শনে ২৫ লাখ ঘনফুট বালি মজুত পাওয়া যায়।

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহল্লাহকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জিম্মায় দেওয়ার সময় ৫০ লাখ ঘনফুট বালু ও একটি এক্সকাভেটরের উল্লেখ রয়েছে। চেয়ারম্যানের জিম্মায় থাকা ২৫ লাখ ঘনফুট বালু ও একটি এক্সকাভেটর চুরি হয়ে যায় বলে সত্যতা পায় গঠিত বালু নিলাম কমিটি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এই জন্য দায়ী করেছে চেয়ারম্যান রুহল্লাহকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দকৃত বালি ও এক্সকাভেটর মেশিন চুরির বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দেয় ৪ মে।

সেখানে বলা হয়, চুরির ঘটনায় রুহল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে যথাসময়ে অবহিত করেননি। যা একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আইন আদেশ প্রতিপালন না করা এবং অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলার শামিল। এ অবস্থায় জব্দকৃত মালামালের জিম্মাদার ১ নম্বর চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রুহল্লাহ চৌধুরী কর্তৃক মোবাইলে কোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করা এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদের ক্ষতির বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় শাস্তিমূলক এই ব্যবস্থা নেয়।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION